আপনার খাবার হালাল তো? ফুডব্লগিং এর জামানায় ফেসবুকে অনেক খাবারের ছবি ভেসে বেড়ায়। মাঝেমধ্যে অফার থাকে বিশেষ বিশেষ চাইনিজ বা কম্বো প্ল্যাটারে। এখন সমস্যা হল, নতুন খাবার বা অফার দেখলে আমাদের মাথা ঠিক থাকে না।
রাজশাহীতে স্ট্রিট ফুড আর আধুনিক রেস্তোরা নিয়ে খুবই ক্রেজ চলছে। ঢাকায় কি চলছে জানিনা। সেদিন ফুডিজ গ্রুপে রাজশাহীর এক রেস্তোরার এড দেখলাম, নাম **** পার্বণ। তাদের রেস্তোরা নিয়ে বেশ কিছু সনাতনীর রিভিউ দেখেছিলাম, তাই খটকা ছিল, কমেন্টে জিজ্ঞেস করলাম – আপনাদের খাবার কি হালাল? সিম্পলি উত্তর হওয়া উচিত ছিল “জ্বি অবশ্যই হালাল”
আরও ইসলামিক বই দেখুনঃ
- ইসলামে হালাল ও হারাম pdf বই ডাউনলোড
- সোনালী পাতা pdf বই ডাউনলোড
- পড়ো pdf বই ডাউনলোড
- হালাল কামাই df বই ডাউনলোড
- সোনালী পাতা pdf বই ডাউনলোড
— কিন্তু না! উনি দেখি কথা ঘুরিয়ে আমাকেই জেরা করছে, “প্রশ্ন কেন করছি, উদ্দেশ্য কি ইত্যাদি ইত্যাদি।” কয়েকবার স্পষ্টভাবে প্রশ্ন করেও উত্তর বের হল না। মোটামুটি বুঝে নিলাম কাহিনী কি। অথচ সেই দোকানে মুসলমানরাও খাচ্ছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই যে সব চাইনিজ, থাই, ম্যাক্সিক্যান রেসিপির খাবারগুলো, কিংবা খুবই প্রসিদ্ধ আইটেম বার্গার, গ্রিল চিকেন আর সাব-স্যান্ডুইচগুলো খাচ্ছি আমরা। কিংবা পথের ধারে কিমার চপ দেখেই কিনে নিচ্ছি। বিরানির দোকানের নাম শুনে কথাবার্তা ছাড়াই কয়েক প্লেট বসিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এব্যাপারে আমরা কতটুকু খোজ করছি?
ফাস্টফুড শপের প্রায় সব আইটেমই তো গোশতের। একবারও কি জিজ্ঞেস করছি হালাল হওয়ার ব্যাপারে? সে মুসলিম কি না, যদি অমুসলিম হয় তবে কোনো মুসলমানকে দিয়ে জবাই করিয়েছে কি না, জিজ্ঞেস করেছি? এই নুন্যতম তাহকিকটা কি করা উচিত না?
হনুমাঞ্জির মন্দিরের সামনের দোকান থেকে বিখ্যাত চপ আর কাবাব খাচ্ছি যে, আমি নাহয় জানি যে উনি মুসলমান। কিন্তু বাকিরা কি একবারও খোজ নিয়েছে এটা?