আম্বিয়ায়ে কিরাম কি মর্যাদাগত ভাবে সমান pdf বই ডাউনলোড। বর্তমান জামানা ফিতনার জামানা। ইসলামী শরীয়তকে সালাফে সালেহীন এর পথ থেকে সরে গিয়ে নিজের মন মত বুঝার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তাই মাদরাসা মসজিদ দিন দিন বাড়লেও সঠিক ইলম দিন দিন লোপ পাচ্ছে।
ইসলাম মূলত জানার নাম। তাই এখানে অজ্ঞতা যতটা বাড়ে, ফেতনা ও ফিরকা ততটা বাড়ে। বর্তমানে আমরা যত ফিরকা ও ফিতনা দেখছি তারঁ মুল কারণ দুইটা ১; আরবী না জেনে শুধু বাংলা পড়ে ফাতওয়া দেয়া। ২; কুরআনের আয়াত বা হাদীস পেশ করে নিজের মন মত ব্যাখ্যা করা।
আরও ইসলামিক বই দেখুনঃ
- আদর্শ নেতা মুহাম্মদ (সাঃ) pdf বই ডাউনলোড
- আহকামে হজ্জ pdf বই ডাউনলোড
- ইসলামঃ ধর্ম – সমাজ – সংস্কৃতি pdf বই ডাউনলোড
- অকাল্টিজম সাইন্টিজম অন্যান্য pdf বই ডাউনলোড
- শিশু বিশ্বকোষ ২য় খন্ড pdf বই ডাউনলোড
১। কেউ যদি ইসলামী শরিয়ত সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে চায় এবং হক বুঝতে চায় তাহলে তারঁ আরবী না জানা ছাড়া কোনও গত্যন্ত নেই। তবে সে নিজে থেকে বাংলা কুরআন ও হাদীস পড়ে যে বিষয় গুলো বিতর্কিত নয় যেমন, সালাত ফরজ, সুদ খাওয়া ঠিক নয়, গান বাজনা ভাল নয়, পিতা মাতাঁর সম্মান করতে হবে ইত্যাদি বিষয় গুলোর দিকে মানুষকে ডাকতে পারে এবং নিজেও আমল করতে পারে।
কিন্তু যেই মাসআলা বিতর্কিত সেই মাসআলার হাকীকাত বা প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য অবশ্যই তাকে আরবী জানতে হবে। যদি তারঁ ভিতরে আরবী বুঝার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে সে বিতর্কিত মাসআলাতে যা বলবে বা লিখবে তারঁ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই জন্যই, সালেহীন এই ধরণের লোকদের ফতওয়া প্রদানকে নাজায়েয এবং ফিতনা বলেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মুকাদ্দমা মুসলিম পড়তে পারেন এবং উসুলে হাদীসের বই গুলোতে যেখানে ইখতিসারে হাদীস এবং রিওয়াত বিল মানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেখানে পড়তে পারেন।
এছাড়া, এখনও কত হাজার হাজার কুরআন ও হাদীসের বই আরবীতে আছে তার ইয়ত্তা নাই। ইসলামী জ্ঞান ভান্ডারের শত ভাগের এক ভাগও এখনও বাংলায় অনুবাদ হয়নি। তাহলে যে ব্যক্তি সেই আরবী বই গুলো না পড়েই শুধু বাংলা পড়ে ফতওয়া দিবে সে দ্বীনের সাথে কত বড় জালিয়াতি করবে তা কল্পনা করা যায়না। কিন্তু যে জাহেল বুঝেও না বুঝার ভান করে তাকে বুঝায় কে?
২ কুরআন থেকে দলীল গ্রহণের নিয়ম হচ্চে কুরআনের ব্যাখ্যা আগে কুরআন দিয়ে করতে হবে। তারপর হাদীস দিয়ে করতে হবে এবং সালাফে সালেহীন ও সাহাবায়ে কেরাম যেই আয়াতের ব্যাখ্যায় যেই হাদীস পেশ করেছেন আমাদেরকেও সেই আয়াতের ব্যাখ্যায় সেই হাদিস পেশ করতে হবে। এর পর সাহাবায়ে কেরামের কওল বা কথা দিয়ে এরপর সালাফে সালেহীন বা মুহাদ্দেসীন দের কথা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে। আশা করি বইটি পড়লে আপনারা উপকৃত হবেন। জানা অজানা অনেক কিছুই ইলম অর্জন করা যাবে। যদি বইটি পড়তে চান তাহলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
নিচে আম্বিয়ায়ে কিরাম কি মর্যাদাগত ভাবে সমান pdf বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
বইয়ের প্রকাশকঃ | |
বইয়ের ধরণঃ | ইসলামিক বিষয়ক |
বইয়ের সাইজঃ | 1.14 MB |
প্রকাশ সালঃ | |
বইয়ের লেখকঃ | আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক |
অনুবাদকঃ |