তারাবী তারাতারি নয় স্বস্থিতে পড়তে হয় pdf বই ডাউনলোড। কিয়ামে রামাদ্বান-তারাবীর ফজিলত
আমরা মুসলিমগণ অধীর আগ্রহে রামাদ্বান মাসের আগমনের অপেক্ষায় থাকি ৷ নিজেদের পাপরাশি মোচন করে জাহান্নাম থেকে নাজাত এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের বুকভরা আশায় রামাদ্বানুল মোবারকে বিশেষ ভাবে ইবাদত-বন্দেগী করে থাকি ।
দিনে সিয়াম পালন করি আর রাতে তারাবীর সালাত আদায় করি। কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, দান- খায়রাত বেশি পরিমাণে করে থাকি। ইবাদত-বন্দেগীর চেতনা ও প্রেরণায় সবাই উজ্জীবিত হয়ে উঠি। অন্যান্য মাস হতে রামাদ্বান মাসের হিসাব-নিকাশ সম্পূর্ণ আলাদা। ইফতারের সময় সবাই মিলে এক সাথে ইফতার করি। তখন কত যে আনন্দ লাগে! ইশার আজানের সাথে সাথে মসজিদে চলে যাই। তখন মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। তারাবীর সালাত পড়তে আসা মুসল্লীগণের দ্বারা মসজিদের কাতারগুলো ভরে উঠে ।
আরও ইসলামিক বই দেখুনঃ
- রামাদ্বান প্ল্যানার pdf বই ডাউনলোড
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা ১ম খন্ড pdf বই ডাউনলোড
- সীরাতুন নবী ৪র্থ খন্ড pdf বই ডাউনলোড
- কুরআন শরীফ নূরানী ছাপা পিডিএফ ডাউনলোড
- আট রাকাত তারাবী ওয়ালাদের আসল রূপ pdf বই
তারাবীর সালাতের ফজিলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মান কামা রামাদ্বানা ঈমানান ও ইত্তিসাবান গুফিরা লাহু মা তাকাদ্দামা মিন যামবিহি” । যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকী লাভের আশায় কিয়ামে রামাদ্বান (তারাবীর সালাত আদায়) করবে তার অতীতের পাপরাশি মাফ করে দেয়া হবে ।
(সহীহুল বুখারী হাদীস নং ৩৭ তা.পাব, ৩৬-ইফা, ৩৬-আপ্ৰ)
আমাদের দেশে অধিকাংশ মসজিদে তারাবীর সালাতে কুরআন মাজিদ খতম করার জন্য হাফিজ সাহেব রাখা হয়। তারা খতমে তারাবীহ পড়িয়ে থাকেন। আর কোনো কোনো মসজিদে সুরা তারাবীহ পড়া হয়। তবে প্রায় মসজিদেই তারাবীর সালাত খুব তাড়াতাড়ি পড়া হয়। ‘তারাবীহ মানেই তাড়াতাড়ি’ এমন একটি মনোভাব প্রায় সকল মুসল্লীর মাঝে বিরাজ করে।
ইমাম সাহেব তাকবীরে তাহরীমার পর সুরা আরম্ভ করার পূর্বে সানা-সুবহানাকা এবং আউযুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়েন কিনা এটা অনেক মুসল্লীর প্রশ্ন। কারণ, এগুলো পাঠ করলে তো ইমামের সময় লাগতো এবং মুসল্লীগণও তার পিছনে সানা- সুবহানাকা পাঠ করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু দেখা যায়, তিনি তাকবীর বলার পরই সুরা পাঠ করা আরম্ভ করেন। শুধু কি তাই, এক টানে সুরা ফাতেহা পড়ে ফেলেন।
এক টানে না পারলে দুই টানে অবশ্যই শেষ করেন। অতঃপর দ্রুত তিলাওয়াত করতে থাকেন। কখনো কখনো তিলাওয়াতের গতি এত দ্রুত হয় যে, গুন গুন শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। তবে আয়াতের শেষে তাফ’আলুন, তা’মালুন, ইয়ামাউন এই রকমের শব্দগুলো শুধু বুঝা যায়। অথচ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সুরা মুয্যাম্মিলের ৪নং আয়াতে পরিস্কার ভাবে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন: “কুরআন ধীরে ধীরে পাঠ কর”।
নিচে তারাবী তারাতারি নয় স্বস্থিতে পড়তে হয় pdf বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশক | এডুকেশন সেন্টার সিলেট |
বইয়ের ধরণঃ | সিয়াম বিষয়ক |
বইয়ের সাইজ | 6.0 MB |
প্রকাশ সালঃ | ২০১৫ সাল |
বইয়ের লেখকঃ | মনীরুদ্দিন আহমদ |
বইয়ের অনুবাদকঃ |