দরসে তিরমিযী ৫ম খন্ড pdf বই ডাউনলোড। ক্যামেরার ছবির মাসআলা সৃষ্টি হয়েছে পরবর্তীতে। যে যুগে ছবি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামের মতে, আলোচনা গবেষণা চলছিলো, সে যুগে ক্যামেরার অস্তিত্ব ছিলো না।; বরং হাতে ছবি বানানা হতো। ক্যামেরার ছবি সম্পর্কে অধিকাংশ ইসলামি আইনবিদ বলতে থাকেন যে, উপকরণ পরিবর্তিত হওয়ার পরে আদেশ পরিবর্তন হয় না। একটি জিনিস প্রথমে হাতে তৈরী করা হতো। এখন মেষিনে তৈরী হয়। শুধু উপকরণের পরিবর্তনের কারণে কোন জিনিসের বৈধতা-অবৈধতারর পার্থক্য হয় না। যদি ছবি অবৈধ হয় তাহলে চাই হাতে তৈরী করা হোক কিংবা ক্যামেরাতে তৈরী করা হোক উভয়টি অবৈধ।
মিশরের এক মুফতি আল্লামা শায়েখ মুহাম্ম বুখাইত রহঃ অতিক্রান্ত হয়ে গেছেন, যিনি দীর্ঘকাল পর্যন্ত মিসরের মুফতি ছিলেন। যিনি বড় এবং মুত্তাকি আলেম ছিলেন। শুধু খাহেশ পুরুস্ত তথা প্রবৃত্তি পূজারি ছিলেন না। তিনি একটি পুস্তিকা লিখেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন যে, ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহিত ছবি বৈধ। প্রমাণে বলেছেন, হাদিসে ছবির যে নিষেধের কারণ বয়ান করেছেন, সেটি হলো আল্লাহর সৃজনের সঙ্গে সাদৃশ্য।
আরও ইসলামিক বই দেখুনঃ
- দরসে তিরমিযী ১ম খন্ড pdf বই ডাউনলোড
- দরসে তিরমিযী ২য় খন্ড pdf বই ডাউনলোড
- দরসে তিরমিযী ৩য় খন্ড pdf বই ডাউনলোড
- দরসে তিরমিযী ৪র্থ খন্ড pdf বই ডাউনলোড
- দরসে ইবনে মাজাহ pdf বই ডাউনলোড
বস্তু আল্লাহর সৃজনের সঙ্গে সাদৃশ্য তখনি হতে পারে যখন কোন ব্যক্তি স্বীয় কল্পনা এবং ব্রেন দ্বারা নিজেরে হাতে কোন চিত্র তৈরী করে। পক্ষান্তরে ক্যামেরার ছবিতে নিজের কল্পনার কোন দখল থাকে না।, বরং ক্যামেরার ছবিতে এই হয় যে, আল্লাহর সৃষ্টি একটি মাখলুক প্রথম হতে বিদ্যমান ছিল। সে সৃষ্টির ছবি (আকছ) নিয়ে সেটাকে সংরক্ষণ করে। সুতরাং আল্লাহর সৃজনের সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি। বরং এটা হলো একটি ছায়াকে আদ্ধকরণ, এটা অবৈধ না। এটা ছিলো তার অবস্থান।
মিসর এবং আরব রাষ্ট্রের অনেক আলেম এ সম্পর্কে তার সমর্থনও করেছেন। তবে অধিকাংশ আলেম সে যুগেও এবং পরবর্তীতেও বিশেষত হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানের ওলামায়ে কেরাম তাদের দলিল গ্রহণ করেন নি। তাঁরা বলেছেন, আল্লাহ সৃজনের সঙ্গে সাদৃশ্য সর্বাবস্থায় বাস্তবায়িত হয়ে যায়। চাই মানুষ এমন জিনিসের ছবি তৈরী করুক, যেটি আগে মওজুদ থাকে এবং সে নিজের কল্পনা দ্বারা ছবি তৈরী করুক।
ক্যামেরার ছবির বৈধতা নিয়ে দরসে তিরমিযী ৫ম খন্ড থেকে উদ্ধৃতঃ
আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বুখাইত রহঃ যেমন বলেছেন, যে জিনিস প্রথমে মওজুদ থাকে তার ছবি বানানো বৈধ। এমন হলে তো প্রতিটি জিনিসের ছবি বৈধ হওয়া উচিৎ। চাই হাতে বানানো হোক কিংবা ক্যামেরার মাধ্যমে তৈরী করা হোক।
হযরত আয়েশা রাঃ এর হাদিসে রাসূল সাঃ যে পর্দার ব্যাপারে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এর ওপর হজরত সুলাইমান আঃ এর ঘোড়ার ছবি তৈরী ছিলো এবং এটাকে আল্লাহ তায়ালা তৈরী করেছিলেন। কাজেই এর ছবি কোন কল্পিত জিনিসের ছবি ছিলোনা। তবে তা সত্বেও প্রিয়নবী সাঃ তার প্রতিবাদ করেছেন।
এর দ্বারা বুঝা গেলো, কোরআন ও সুন্নায় এমন পার্থক্য করার কোন দলিল নেই। যে, জিনিস আগে মওজুদ থাকে তার ছবি বানানো বৈধ আর যে জিনিস মওজুদ নেই তার ছবি বানানো অবৈধ। বাকি রইলো উপকরণের বিষয়টি। এ সম্পর্কে পথমেই বলে দিয়েছি যে, উপকরণের পরিবর্তনের ফলে হুকুমে কোন পার্থক্য হয় না।
সুতরাং অধিক সংখ্যক আলেমের মতে, পধান এটাই যে, ক্যামেরার ছবিরও সে আদেশই, যে আদেশ হাতে তৈরী ছবির। সুতরাং তা হতে পরহেজ করা আবশ্যক।
প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ছবির আদেশ
এই মতপার্থক্য দ্বার এ বিষয়টি সামনে আসে যে এর বৈধতা ও অবৈধতা দু’টি কারণে ইজতিহাদি বিষয়ে পরিণতি হয়েছে।
১. এ সম্পর্কে ইমাম মালেক রহঃ এর মতপার্থক্য রয়েছে।
২. ক্যামেরার ছবি সম্পর্কে আল্লামা বুখাইত রহঃ এর ফতওয়া মওজুদ রয়েছে। যদিও সে ফতওয়া আমাদের মতে সঠিক না। তবে সর্বাবস্থায় একটি নুতন জিনিস সম্পর্কে একজন পরহেজগার আলেমের উক্তি রয়েছে। ফলে বিষয়টি ইজতিহাদি হয়ে গেলো। সাধারণ প্রয়োজনের সময় ইজতিহাদি বিষয়ের অবকাশ সৃষ্টি হয়ে যায়।
সুতরাং যেখানে সাধারণ প্রয়োজন হবে; যেমন- পাসপোর্ট ও আইডেন্টিটি কার্ডে (পরিচয় পত্রে) কিংবা এমন কোন স্থানে যেখানে মানুষের নিজের পরিচয় করাতে হয়। এবং পরিচয় ব্যতিত কাজ হয় না এবং ছবি ব্যতিত পরিচয় হতে পারে না।, সেসব স্থানে তা ব্যবহার করা বৈদ হবে। প্রয়োজনের ক্ষেত্র ব্যতিত তা ব্যবহার করা বৈধ না। তা হতে পরহেজ করা আবশ্যক।
নিচে দরসে তিরমিযী ৫ম খন্ড বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ | আনোয়ার লাইব্রেরী |
বইয়ের ধরণঃ | তিরমিযী হাদীস এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ |
বইয়ের সাইজঃ | 11.9 MB |
প্রকাশ সাল | ২০১১ সাল |
বইয়ের লেখকঃ | মুফতি তাকি উসমানী |
বইয়ের অনুবাদকঃ | মুহসিন আল জাবির |