রমনী কন্ঠহার pdf বই ডাউনলোড। নারী-কন্যারূপে-: আমাদের দেশে অনেকেই কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করিলে ঘৃণায় নাসিকা কুঞ্চিত করেন; পক্ষান্তরে পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হইলে আর আনন্দের সীমা থাকে না। সীমাবদ্ধ জ্ঞান বিশিষ্ট মানুষ সীমাহীন জ্ঞানের অধিকারী সেই মহাকৌশলী আল্লাহ তায়ালার অনন্ত ও অফুরন্ত জ্ঞানের তত্ত্বোদ্ঘাটন কেমন করিয়া করিবে? তাই মানুষ কোনটি তাহার পক্ষে কল্যাণকর ও কোনটি তাহার পক্ষে ক্ষতিকর, তাহা না জানিয়া বা না বুঝিয়া একটা ভ্রান্ত ধারণায় বশীভূত হইয়া এইরূপ অসংযতবাক হইয়া থাকে ।
আল্লাহ তায়ালা বলিয়াছেন :“খুব সম্ভব তোমরা কোন জিনিষকে অপ্রীতিকর বলিয়া ধারণা কর; কিন্তু উহাই তোমাদের পক্ষে সমধিক কল্যাণকর। পক্ষান্তরে তোমরা যাহাকে প্রীতিজনক বলিয়া বিবেচনা কর, উহা তোমাদের পক্ষে হানিকর” (কোরআন)। হজরত নবীয়ে করিম (ছাঃ) একদা মধ্যমা ও অনামিকা অঙ্গুলিদ্বয় একত্রিত করিয়া বলিয়াছিলেন- খোদা তায়ালা যাহাকে দুইটি কন্যা দান করিয়াছেন।
আরও ইসলামিক বই দেখুনঃ
অনন্তর তাহাদিগকে যথাবিহিত প্রতিপালন করতঃ বয়ষ্কা হইলে উপযুক্ত ও যোগ্য বরণ করে, সে ব্যক্তি বেহেশতে আমার এই মিলিত অঙ্গুলিদ্বয়ের ন্যায় আমার সহিত স করিবে। (মেশকাত)। সুতরাং কন্যাও পিতা-মাতার পক্ষে অনেকটা সুখ-শান্তির হেতু ইহা অস্বীকার করার নাই ৷
(২) নারী-জননী রূপে-: করুণাময় আল্লাহ তায়ালা তাঁহার অপার করুণা বলে মাতৃ জাতির হৃদয়ে যে কোমলতা, স্নেহ, ভালবাসা ও সন্তান বাৎসল্য প্রদান করিয়াছেন, তাহা না করিলে জাতি-ধর্ম এমনকি জীবজন্তু, পশু-পক্ষী নির্বিশেষে জগতের সৃষ্টি পালন অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইত। বোধ হয়, এই কারণেই আল্লাহ তায়ালা মাতৃ জাতিকে কোমল হৃদয়া করিয়া সৃজন করিয়াছেন।
সন্তান প্রসবের পর যখন তাহার এক বিন্দুও নড়িবার চড়িবারও ক্ষমতা থাকে না, তখন একমাত্র আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে মাতার অছিলায় সে প্রতিপালিত হইতে থাকে। বলিতে কি, ঠিক সেই সময় হইতেই সন্তানের চরিত্রও গঠিত হইতে থাকে। এক্ষেত্রে মাতা ভাল না হইলে সচচরিত্র সন্তান কেমন করিয়া গঠিত হইবে? জননী নির্মল স্বভাব বিশিষ্টা হইলেও তাহার আচার-ব্যবহার, চাল-চলন, খাওয়া-পরা, উঠা-বসা ও ভাষা প্রভৃতি মার্জিত হইলে তাহার গর্ভজাত সন্তানও সৎ স্বভাব বিশিষ্ট হইবে, ইহা অবশ্যই আশা করা যায়।
মাতার মর্যাদা সম্বন্ধে হজরতের উক্তি
(১) মাতা-পিতার চরণতলে সন্তানের বেহেশত অবস্থিত। মেশকাত ।
(২) একদা হজরতের জনৈক ছাহাবা হজরতকে বলিয়াছিলেন- হে প্রেরিত পুরুষ! আমি মানুষের মধ্যে কাহার সহিত অধিক সদ্ব্যবহার করিব? হজরত বলিলেন, “তোমার মাতার সহিত।” তিনি পুনরায় বলিলেন, মাতার পর আর কাহাকে অধিকতর শ্রদ্ধা করিব?
নিচে রমনী কন্ঠহার pdf বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ | |
বইয়ের ধরণঃ | বিবাহ ও দাম্পত্য-নারী বিষয়ক বই |
বইয়ের সাইজঃ | 36.25 MB |
প্রকাশ সাল | |
বইয়ের লেখকঃ | আল্লামা মায়েজউদ্দীন হামিদী |
বইয়ের অনুবাদকঃ |