লাভ ক্যান্ডি pdf বই
লাভ ক্যান্ডি pdf বই ডাউনলোড। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। সুর্যর লালিমা আধাঁরে মিলিয়ে যাচ্ছে। শহর যেন খোলস বদলাচ্ছে। ব্যবস্ত নগরীরর যন্ত্রমানবেরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে গাড়িগুলো যেন পাল্লা দিয়ে ছুটছে। পাখিরাও সব নীড়ে ফিরতে শুরু করেছে কিন্তু আমার..। ফাজিলটাকে কতবার ফোন করলাম। নিজে তো একটিবার করলই না, আমারটাও রিসিভ করল না। আজ আসুক..। দাতঁ কিড়মিড়িয়ে বেলকুনির গ্রিল ধরে বাইরে তাকিয়ে আছে স্নেহা। বেশ রেগেছে আজ।
আদিব আসলেই যেন ওকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে। অনেকটা এই টাইপের। মাঝেমাঝে গ্রিল ছেড়ে দিয়ে আলতো পায়ে সামান্য পায়চারি করছে। একটু পর আবার গ্রিয় হাত রেখে বাইরের কোলাহলে দৃষ্টি ফিরাচ্ছে। এরই মধ্যেই হঠাৎ একটু দমকা হাওয়া এসে স্নেহার চুলগুলো এলোমেলো করে দিন। মুখটাকে ঢেকে দিল।
আরও দেখুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম pdf বই ডাউনলোড
স্নেহা মাথাটি মৃদু দুলিয়ে হাতের আলতো ছোঁয়ায় চুলগুলো কানের পিঠে গুজঁতে গিয়েই কেমন যেন সুড়সুড়ি পেল। হাত দিয়ে চুলগুলো ঘাড়ের সাথে চেপে ধরে একটু আড়চোখে পেছনে তাকাতেই যেন পিলে চমকে গেল!
এ- কী ! আদিব তুমি! আদিব কিছু বলল না। হাত নামিয়ে চুপচাপ দাড়িঁয়ে রইল। স্নেহা কাপট রাগ দেখিয়ে বলল, এভাবে এসে চুপচাপ আসলে যে, ভয় পাই না বুঝি? কী করব, দরজা খুলে রেখে এখানে এসে দাড়িঁয়ে থাকলে একটু তো ভয়া দেখানেই উচিত। কী! দরজা খোলা ছিল? না। তাহলে তুমি আসরে কি করে? কোথায় আসলাম? এটা আমি না তো।
আরও দেখুনঃ শিহাব তুহিনের নির্বাচিত লেখা pdf বই ডাউনলোড
ভুত! এই বলে চোখ বড় করে স্নেহার চোখের দিকে তাকিয়ে জোরে শ্বাস নিতে থাকল। আদিব। স্নেহা এক-পা-দু-পা করে পিচ্ছাচ্ছে। অমনি আদিখ খপ করে স্নেহার বাজুতে ধলে ফেলল। আ..উ! করে মৃদু চিৎকার করে উঠল স্নেহা। আদিব বলল কি? এত আনমনা কেন হুম? কাছাকাছি চলে এসেছিলাম তাই ফোনটা রিসিভ করিনি। এই তুমি কে সত্য করে বলো! সত্যি সত্যি ভু ভু ভুত-টুত না তো? বেচারি ভয় পেয়েছে কিছুটা। আদিব ওর কাছে একটা চিমটি কেটে বলল, কী মনে হয় শুনি? ছেলে মানুষ দিয়ে বিশ্বাস নেই।
হতেও তো পার। অস্ফুটে বলল স্নেহা। চিমটি খেয়েও বিশ্বাস হচ্ছে না? আরও কিছু করতে হবে? অ্যাই! আর কিছু মানে? আজ আমি অনেক রেগে আছি একদম মিল দিতে আসবা না। যাওম তোমার কাজে যাও। আসতে কে বলেছে কে? বা রে! আমার আসার জন্য দরজাটা পর্যন্ত খুলে রেখেছ।
আর বলছো আসতে বলেছে কে? দেখো! একদম ভাব জমাতে চেষ্টা করাব না বলে দিচ্ছি। আজ অনেক কষ্ট করে রাগ জমিয়েছি। সারারাত একটু একটু করে ঝাড়ব তোমাকে। এই বলে চোখ পিরিয়ে নিল স্নেহা। মুখের খুন করা হাসিটুকু আড়াল করতেই কিনা! মেয়েটি ভারি অভিমানী। কিন্তু সেটা একদমই ধরে রাখতে পারে না।
আরও দেখুনঃ বলয় ভাঙ্গার গল্প pdf বই ডাউনলোড
লাভ ক্যান্ডি আসলে কি?
‘লাভ ক্যান্ডি আমার দ্বিতীয় সন্তান। সন্তান বলতে কাগুজে সন্তান। সন্তানের প্রতি জনকের মমতা, আবেগ আর ভালােবাসা কখনও পরিমাপ করা যায় না। তবে সন্তানের আচার, অবয়ব, গতিপ্রকৃতি এসবের ভিন্নতার জন্য অনুভূতির পারদেও কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়। এজন্যই দেখা যায়, একেক সন্তানের জন্য একেকরকমের অনুভূতি।
যখন আমার প্রথম সন্তানের জন্ম হয় তার কিছুদিন পরের ঘটনা।
‘আব্দু! তােমার বইটি আমি আর পড়তে পারছি না। তুমি কেমন আছ। আব্দু? কোথায় আছ এখন? দুপুরে খেয়েছাে আব্দু?”
সেদিন দুপুরে অফিসে মিটিং-এ থাকাবস্থায় আব্দুর ফোন আসে। প্রথমবার রিসিভ করতে পারিনি। আব্দু সাধারণত একবার রিসিভ না করলে একটু লেট করে আবার কল দেয়। কিন্তু আজ সাথে সাথেই আবার কল দেওয়াতে ইমার্জেন্সি মনে হওয়ায় একটু সাইডে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করি।
রিসিভ করতেই একশ্বাসে কথাগুলাে বলে আব্ব ফুপিয়ে কান্না জুড়ে দিল। ভড়কে গেলাম আমি! মুহূর্তেই বুকের ভেতরটা খিচে উঠল। “আব্ব! পড়তে পারছেন না বলতে? কী হয়েছে আপনার? এই আব্দু! এভাবে কান্না কেন? কী হলাে আপনার?
‘কিছু হয়নি আব্দু। আমি তােমার বইটি আর পড়তে পারছি না। আর একটুও পড়তে পারছি না।
ভয় আর শঙ্কায় আমার হাত-পা কাঁপছিল। আব্বকে আমার লাইফে হাতেগােনা মাত্র কয়েকবার কান্না করতে দেখেছি।
১৯’র বইমেলায় ‘ইউটার্ন’ প্রকাশিত হওয়ার সংবাদ শুনে সেদিন প্রথম কেঁদেছিল। মােড়ক উন্মােচন অনুষ্ঠানেও ওদিন কেঁদে ফেলেছিল। তবে এভাবে ফুপিয়ে কান্না এই প্রথম। আমার কলিজা সুদ্ধা কাঁপতে শুরু করল।
মিটিংরুম ছেড়ে সােজা অফিসের ছাঁদে চলে গেলাম। চশমা খুলে মুখটা চেপে ধরে মিনিতি করে বললাম, আব্দু প্লিজ! এভাবে বলবেন না। কী হয়েছে। আপনার আগে খুলে বলুন। আপনি ঠিক আছেন তাে? কোথায় আছেন এখন? কী করছেন? শারীরিক কোনাে অসুবিধা হয়নি তাে?”
লাভ ক্যান্ডি pdf বই খুঁজছেন?
মৃদু স্বরে আলু প্রতিঙোর করল, ‘না আলু, সব ঠিক আছে। আমি, গাড়িতে বসে আছি। তােমার বইটি পড়ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আর পড়তে পারছি না আলু। আমি আর একটুও পড়তে পারছি না…।
এই বলে এবার গলা ছেড়ে কান্না জুড়ে দিল। আমার ভেতরটা যেন তখন ফেটে যেতে চাচ্ছিল। জন্মদাতা পিতার এমন কান্না কোনাে সন্তানের কানে গেলে যেন কলিজাটা ছিড়ে যায়। বােঝাতে পারব না আমি।
“আবু, একটু স্থির হােন প্লিজ। এভাবে বলবেন না। একটু শান্ত হোন। আব্দু। একটু।’ আমি ঠিক আছি। তুমি নিজের প্রতি খেয়াল রেখ। ঠিকমত খেয়ে নিও। সাবধানে থেক। আমি ঠিক আছি অব্দুি। আমি ঠিক আছি। এই
বলে আবার কান্না…
টুপ করে এবার ফোনটা কেটে দিলেন। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে কিছুক্ষণ পর কলব্যাক করলাম। অব্দুির
আসলেই কিছু হলাে কি না…
আরও দেখুনঃ
অতিথি পাখির কান্না pdf বই ডাউনলোড
কাশ্মীরের কান্না pdf বই ডাউনলোড
কুরআন ও সুন্নাতের আলোকে মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না pdf
ফোন রিসিভ করে আমার ভয়েস শোনা মাত্রই আবার বলতে শুরু করল, ‘আলু। তুমি একী লিখেছে! আমি সত্যিই আর পড়তে পারছি না। আমাকে মাফ করে দিও আব্বু।
আব্দুর কান্নার আওয়াজে আমি ইমব্যালেন্সড হয়ে পড়ছিলাম। ‘আলু প্লিজ! একটু খুলে বলুন, কী হয়েছে? আর এভাবেই-বা বলছেন কেন?’ আলু আবারও বললেন, ‘আমি তােমার বইটি আর পড়তে পারছি না আব্ব! ও আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দিও আলু! তুমি টেনশন কোরাে না।
আছরের আযান হয়ে গেছে। মসজিদেও যাও। আমিও যাচ্ছি। রাখো আলু, ফোন রাখাে। আমি ঠিক আছি। একদম ঠিক আছি।’ এবারও এই বলে কোন রেখে দিলেন। আব্দুর ডুকরে কাঁদার আওয়াজ সেদিন আমাকে আহত করে দিয়েছিল। এখনও মনে পড়লে পুরাে শরীর মুষড়ে উঠে। কলিজাটা থরথর করে কাঁপতে
থাকে। বুকের ভেতরটায় তােলপাড় হতে থাকে।
জানি না, এবার ‘লাভ ক্যান্ডি’ পড়ার পর আব্দুর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে। সেটা না হয় পরবর্তীতে কখনও জানাতে পারব।
আচ্ছা আপনারা ‘লাভ হসপিটাল’ নাম শুনেছেন কেউ? না কোন ফনি নয়। গত ২২শে ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে দৈনিক নয়াদিগন্তে এব্যাপারে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিলো।
সেখানে লিখেছে, চীনে প্রায় ১৭ বছর আগে থেকেই লাভ হসপিটাল’ নামে। অসংখ্য হসপিটাল তৈরি হয়ে আসছে এবং এযাবৎ প্রায় ১০ লক্ষ পেসেন্টকে। ট্রিটমেন্টও দিয়েছে তারা। এই পরিসংখ্যান ১৭ সালের। বর্তমানে এর সংখ্যা আরও বেশি। এসব হসপিটালের ফলাফল নিয়ে আমার তেমন মাথাব্যথা নেই।
আমি ভাবছি তাদের পেসেন্টদেরকে নিয়ে।সচরাচর শারিরীক ও মানসিক চিকিৎসার জন্য হসপিটাল তৈরি হয়ে থাকে। তবে এই ‘ লাভ হসপিটাল’ তৈরি হয়েছে নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে সম্পর্কের টানাপােড়ন সহ ইত্যকার নানান সমস্যা সমাধান করার জন্য। এখানে পেসেন্টকে তারা বিভিন্ন সাজেশন ও কৌশল শিখিয়ে দিয়ে ট্রিটমেন্ট করে থাকে।
অনেকেই নিজের জীবনসঙ্গীর প্রতি তুষ্ট না থেকে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একটি সাজানাে সংসারকে বাতাসে উড়িয়ে নিজেও আকাশে উড়ার অলীক স্বপ্নে মজে পাগলামাে শুরু করে দেয়।
অনেকসময় ভালােবাসার মানুষটি কারণে-অকারণে ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে, সামান্যকিছুতেই বিরক্তি প্রকাশ করে, রাতে নিয়মিত দেরি করে ফিরে, আগের মত সেই রােমান্স শত চেষ্টা করেও পাওয়া যায় না, সামান্য
অযুহাতে বিভিন্ন হুমকি, বকা, গায়ে হাত তােলা সহ তুলকালাম বাধিয়ে ফেলা, শশুরবাড়ির কাউকে সহ্য করতে না পারা, কিছু হলেই চলে যেতে বলা, তালাক দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
অধিকাংশ স্ত্রীই এর আসল কারণ বের করতে অপরাগ। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে অথবা নিজের ভাগ্যের দোষ বলে তিলেতিলে মরতে থাকে। আপনার জানা উচিৎ যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপরােক্ত কারণটির জন্যই অর্থাৎ অন্যের প্রতি আশক্ত হয়েই আপনার স্বামী এমন আকস্মিক পালটে যায়। তবে বলে রাখি, সবার ক্ষেত্রে কিন্তু একই কারণ না-ও হতে পারে, অনেকের স্বভাবগত কারণ।
এটা কিংবা ভিন্ন কারণও থাকতে পারে। তাই অহেতুক সন্দেহ করে আবার। তালগােল পাকিয়ে না ফেলি যেন, সাবধান।
নিচে লাভ ক্যান্ডি pdf বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ

প্রকাশকঃ নিয়ন পাবলিকেশন বইয়ের ধরণঃ শিক্ষনীয় গল্প বইয়ের সাইজঃ 87.5 MB প্রকাশ সালঃ 2019 বইয়ের লেখকঃ জাফর বিপি অনুবাদঃডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
যদি ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হয়। আর ওয়েবসাইটটি আপনার উপকারে কাজে আসলে আপনি একটি শেয়ার করে দিন। শেয়ার করুন সওয়াবের আশায়, কারণ আপনি ভালো কাজে এবং ভালো উদ্দেশ্যে শেয়ার করছেন। আর প্রত্যেক ভালো কাজের বিনিময় আল্লাহ আপনাকে দিবেন।