কিতাবুল ইলম জ্ঞানার্জন pdf বই ডাউনলোড। ইলম জ্ঞান-এর পরিচয়: শাব্দিক অর্থ: ইলম জ্ঞান হচ্ছে জাহল (অজ্ঞতা ) এর বিপরীত। আর ইলম এর অর্থ হলো: কোন কিছুকে তার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে জানতে পারা। পারিভাষিক সংজ্ঞা: কিছু বিদ্ধান বলেছেন, িইলম হলো কোনকিছুর প্রকৃত অবস্থা জানা। আর এটি অজানা ও অজ্ঞতার বিপরীত। অন্যান্য বিদ্বানগণ বলেছেন,, নিশ্চয় ইলম কোনকিছুর প্রকৃত অবস্থা জানার চেয়েও অধিকতর সুষ্পষ্ট। আর এখানে ইলম জ্ঞান দ্বারা আমাদের যেটি উদ্দেশ্য সেটি হলো ইলমে শারঈ ইসলামী জ্ঞান। আর ইসলেম শারঈ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: আল্লাহ তাআলা তার রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যেসব সুষ্পষ্ট দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেছেন, সেগুলোর ইলম জ্ঞান।
সুতরাং, যে ইলমের মাঝে গুণকীর্তন ও প্রশংসা রয়েছে, সেটিই অহীর জ্ঞান এবং শুধুমাত্র আল্লাহ প্রদত্ত ইলম জ্ঞান। নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: অর্থাৎ- আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বনের সঠিক ইলম জ্ঞান দান করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, নিশ্চয় নবীগণ আ. কাউকে দিনার ও দিরহামের অর্থাৎ দুনিয়াবী কোন জিনিসের উত্তরাধিকারী বানাননি।
আরও ইসলামিক বই দেখুনঃ
- ইসলামের সৌন্দর্য pdf বই ডাউনলোড
- ইলম ও জিহাদ pdf বই ডাউনলোড
- অধ্যয়ন ও জ্ঞান সাধনা pdf বই ডাউনলোড
- অধ্যয়ন ও জ্ঞান সাধনা pdf বই ডাউনলোড
- কিতাবুল হজ pdf বই ডাউনলোড
প্রকৃতপক্ষে, তারা মানুষকে ইলম জ্ঞান এর উত্তরাধিকারী বানিয়েছেন। যদি কোন ব্যক্তি ইলম অর্জন করে, তাহলে সে ব্যক্তি অবশ্যই নবীগণ আ, এর উত্তরাধিকার থেকে পূর্ণ অংশ অর্জন করতে পারবে। আর এটি জানা বিষয় যে, নবীগণ আ, মানুষকে যে ইলমের উত্তরাধিকারী বানিয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে এটি আল্লাহর শারীআত বিধান সংক্রান্ত ইলম। সেটা অন্য কোন ইলম না। নবীগণ আ, মানুষকে কারিগরিবিদ্যা শিল্পকর্মবিদ্যা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিদ্যার উত্তরাধিকারী বানাননি।
তবে যখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় আগমন করলেন, তকণ তিনি কিছু মানুষকে খেজুর গাছে পরাগায়ন করতে দেখলেন। আর যখন তিনি তাদেরকে পরাগায়ন করতে দেখলেন, তখন তিনি একটি কথা বললেন অর্থাৎ তিনি বললেন যে, এটি পরাগায়ন করার কোন প্রয়োজন নেই। অতঃপর তারা কথাটি মেনে নিল এবং পরাগায়ন করা ছেড়ে দিল।
কিন্তু গাছের খেজুর নষ্ট হয়ে গেল। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের দুনিয়াবী বিষয়ে তোমরাই সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারী। আর যদি এটি পরাগায়ন করার ইলমটি ঐ ইলম হতো, যার মাঝে প্রশংসা রয়েছে, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়ে অবশ্যই সর্বাধিক জ্ঞানী হতেন।
কেননা ইলম ও আমরে কারণে যার সবচেয়ে বেশি প্রশংসা করা হয়, তিনি হলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতএব, ইলমে শারঈ ইসলামী জ্ঞান সেটিই, যেটির মাঝে প্রশংসা রয়েছে। আর প্রশংসাটি ইলমে শারঈ অন্বেষণকারীর জন্যই নির্দিষ্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্যান্য ইলমগুলোর উপকারিতা অস্বীকার করছি না।
নিচে কিতাবুল ইলম জ্ঞানার্জন pdf বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
বইয়ের প্রকাশকঃ | মাকতাবাতুস-সুন্নাহ |
বইয়ের ধরণঃ | ইসলামিক বিষয়ক বই |
বইয়ের সাইজঃ | 1 MB |
প্রকাশ সালঃ | ২০১৮ |
বইয়ের লেখকঃ | মুহাম্মাদ ইবনে ছলিহ আল-উছাইমীন রহ. |
অনুবাদঃ | আঃ রাযযাক বিন আঃ রশীদ ও মোজাফফার বিন মুকসেদ |