DUET কোচিং পরামর্শ
DUET কোচিং পরামর্শ । একই ছাত্র/ছাত্রী একাধিক কোচিং এ নির্দিষ্ট ফি দিয়ে মডেল টেষ্ট দিতে পারে ফলে একজন ছাত্র /ছাত্রী যখন চান্স পায় তখন প্রায় সকল কোচিং তাকে তাদের নিজস্ব ছাত্র-ছাত্র বলে দাবি করে। ডুয়েট এ মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৬৬০ টি কিন্ত তোমরা যদি চান্স প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রসপেক্টটাসে দেখ তা হলে সব চান্স প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। তাই কোন কোচিং থেকে কত গুলো চান্স পেলো সেই সংখ্যা দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে যথাযথ কোয়ালিটি আছে কিনা তা যাচাই করে ভর্তি হবা।
•অনেক কোচিং সেন্টার তোমরা গাজীপূরে আসার ২-১ মাস আগে থেকে তোমাদের জন্য সিট বুকিং করে রাখে ফলে তোমরা যখন গাজীপুরে আসো তখন বাড়তি ২-১ মাসের জন্য নির্ধারিত মেস ভাড়ার সাথে তোমাদের ও বাড়ির মালিকের অজান্তে কোচিং কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের সাথে কিছু বাড়তি ভাড়া নিয়ে থাকে যা তোমরা যখন পরে জানতে পারো তখন কিছুটা ক্ষোভের সঞ্চার হয় তোমাদের মাঝে। (অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি) তাই মেস বা সিট বুকিং এর আগে বিষয়গুলো স্পষ্ট করে নিবা।
•গাজীপুর কোন কোচিং সেন্টার একটি অধ্যায়ের উপর একাধিক ক্লাশ নেয় না তার কারন হলো একটা ক্লাসের (১.৫ ঘন্টার) জন্য টিচার বিল ২০০-২৫০ টাকা প্রদান করে … এখন একটি অধ্যায়ের উপর একাধিক ক্লাশ দিলে টিচার বিল দ্বিগুন –তিনগুন বেশী পড়বে তাই তারা একটি অধ্যায়ের উপর একটি ক্লাস করায় এতে সব টপিক্স যেমন ক্লিয়ার করা যায় না তেমনি অধ্যায়ের ৫-৭ অংক করে দিয়ে অংকের নম্বার দাগিয়ে দিয়ে ক্লাশ শেষ করার প্রবণতা দেখা যায়…ফলে যারা মধ্যম মানের মেধাবী তাদের বাড়তি প্রাইভেট পড়তে হয়। যা তোমরা যখন গাজীপুর আসবা তখন রিয়েলাইজ কররা।
কোন কোচিং সেরা : ( DUET ভর্তির জন্য)
DUET কোচিং পরামর্শ কোন কোচিং সেন্টার সপ্তাহে ০৬ দিন ক্লাশ করায় না তার কারন তোমরা যে কোর্স ফি প্রদান কর তা টোটাল কোর্সের পরিমানের সাপেক্ষে অনেক নগন্য । ইন্টারমিডেয়াটে ০৩ মাস কোচিং এর জন্য প্রদান করতে হয় ১৬০০০-২০০০০ টাকা আর ডুয়েট এডমিশনে ০৯ মাস নন ডিপার্টমেন্ট ও ডির্পামেন্ট বাবদ তোমরা প্রদান কর ১০,০০০-১২০০০ টাকা । তোমাদের সস্তা খোজার মেন্টালিটি মুলত কোচিং গুলোকে এমন করতে বাধ্য করেছে।
তাই সস্তা না খুঁজে কোয়ালিটি খুজবা।
আরও দেখুনঃ রহমানের বান্দাদের গুণাবলী pdf বই ডাউনলোড
ভালো করে খেয়াল করে দেখবা গাজীপুরে অল্প কিছু কমার্শিয়াল কোচিং ছাড়া বাকি সব কোচিং অঞ্চল ভিত্তিক বা পলিটেকনিক ভিত্তিক ফলে কোচিং সেন্টার এর পরিচালক প্রতি বছর পরিবর্তন হয় তাই তারা দীর্ঘ মেয়াদী কোন কল্যানমুলক কাজ করেন না… যা করেন একবছর মেয়াদী তাই কোন কোচিং সেন্টার থেকে তোমারা পূর্ণাঙ্গ লেকচার শীট বা নোটস পাবা না। তোমাদের প্রত্যককে দেখবা একসেট পুরতন বই ধরিয়ে দেওয়া হবে…. যা ৩০ বছর ধরে চলছে সাথে কিছু নুতন বই দিয়ে ক্লাশ শুরু করবে…. তার পর তোমাদের নোটস তৈরী করতে হবে যা ব্যাপক সময় নষ্ট করে । সেজন্য অনেক মেধাবীদের দেখেছি নোটস তৈরী করতে অনেক সময় নষ্ট করার কারনে প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায় না।
তাই বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করে ভর্তি হবা। (তোমাদের বড় ভাইদের কাছ থেকে নোটস সংগ্রহ করে নিবা।যা তোমাদের ভর্তি যুদ্ধে এগিয়ে রাখবে)